দখিনের খবর ডেস্ক ॥ জাতীয় পতাকার মর্যাদা সমুন্নত না রাখার অভিযোগে বরগুনার তিন সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে মামলাটি গ্রহণ করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে সোমবার আইনজীবী জেড এইচ এম মুজাহিদুল হক মামলাটি দায়েরের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ওইদিন শুনানি শেষে বিচারক মো. হানিদ হোসেন মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। জাতীয় পতাকা আইন-১৯৭২ এর তিন নম্বর ধারা এবং ২০১০ সালের ২০নং আইনে দায়ের করা এ মামলায় বরগুনার জেলা রেজিস্ট্রার, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও বরগুনার কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক এবং বরগুনার গৌরীচন্নার কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপককের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা এবং আইন লঙ্ঘন করে অভিযুক্তদের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর ফলে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধের অসম্মান করা হয়। এ বিষয়ে মামলার বাদী আইনজীবী জেড এইচ এম মুজাহিদুল হক বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননা আমাকে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে। তাই আমি মামলা দায়ের করেছি এবং মামলাটি গ্রহণ করে আদালত বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি (পিপি) ভূবন চন্দ্র হালদার বলেন, জাতীয় পতাকা আইন ১৯৭২ এর তিন নম্বর ধারা এবং ২০১০ সালের ২০নং আইনে অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে উত্তোলন না করে এবং আকৃতি ও রঙ বিকৃত করে তাহলে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা এক বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
Leave a Reply